Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
মন্দির
label.image.title
Institute Type
মন্দির
Head Of The Institute
শ্রী শ্রী রামঠাকুর
Designation
সত্যনারায়ণ সেবা মন্দির
Mobile
০১৫৫৭৭১২৫১৮
Address

History

রুপক চক্রবর্তী শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি।
শরীয়তপুর জেলার নড়ীয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক সত্যনারায়ণ সেবা মন্দিরে ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়েছে,চলছে মন্দিরের সাজসজ্জা প্রক্রিয়া।বিগত ৬৮ বছর যাবৎ এ অনুষ্ঠান হয়ে আসছে,প্রতিবছর বাংলা তারিখের ২৭/২৮/২৯ শে মাঘ এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং ২৯শে মাঘ দুপুরে ভোগরাগের পর মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই মহাপ্রসাদ গ্রহন ও অনুষ্ঠান দর্শন করা জন্য দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার শিষ্য ও ভক্ত এসে সমাগম হয় এই মহান পূর্ন্যর্তিথ্য ভুমি শ্রী শ্রী রামঠাকুরের সত্যনারায়ণ সেবা মন্দিরে।

মহামানব শ্রী শ্রী রামঠাকুর বাংলা ১২৬৬ সনের ২১শে মাঘ ইংরেজি ১৮৬০ সালের ২রা ফ্রেবুয়ারী বৃহস্পতিবার ভাম্রমূহুর্তে রুহীনি নক্ষত্রে তৎকালীন বৃহত্তম ফরিদপুর জেলা বর্তমান শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক তাহার মাতুল বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।রামঠাকুর  অক্ষয় ত্রিতিয়া তিথিতে মাতৃ জঠরে প্রবেশ করেন আবার অক্ষয় ত্রিতিয়া তিথিতে জন্মগ্রহন করেন।রামঠাকুরের পিতার নাম শ্রী রাধামাদব বিদ্যালংকার এবং মাতার নাম কমলা দেবী,চার ভাইয়ের মধ্যে রামঠাকুর তৃতীয় নম্বর, তিনি জমজ জন্মগ্রহণ করেন তার সাথে যে অনুজ এসেছে তাহার নাম লক্ষন। রামঠাকুরের সম্পূন নাম শ্রী রামচন্দ্র চক্রবর্তী।রামঠাকুরের পৈতৃক নিবাস শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার জপসা গ্রামে।রামঠাকুরের মাত্র আট বছর বয়সে তার পিতৃ বিয়োগ ঘটে,রামঠাকুর বাল্যকাল হতেই ধর্মের দিকে খুব অর্গসর ছিলেন তিনি ১২ বছর বয়সে প্রথম সাধনার জন্য তিনি ভারতের পূর্ববঙ্গের কামাক্ষ্যার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন তিনি এখানে সাধনা শেষ করে ২৪ বছর বয়সে ২য় বার সাধনার জন্য গৃহত্যাগ করে হিমালয়ের উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। তিনি মক্কা এবং মদিনায় ও গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় রামঠাকুরের ভক্ত ও শিষ্য রয়েছে শুধু হিন্দুই নয় রামঠাকুরের মুসলমান শিষ্য ও রয়েছে যার মধ্যে প্রথম রামঠাকুরের কাছ থেকে দীক্ষা নেন কার্তিকপুরের সাধু চেরাগ আলী এবং অনেক জায়গায় রামঠাকুরের মন্দির ও রয়েছে,রামঠাকুরের চট্টগ্রামে কৈবোল্যধাম ও নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী তে রামঠাকুরের সমাধী মন্দির রয়েছে এছাড়া ভারতে ও রামঠাকুরের মন্দির রয়েছে।শরীয়তপুরের ডিঙ্গামানিক সত্যনারায়ণ সেবা মন্দিরের ভৃত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৩৪৯ সনের পূর্ণ অক্ষয় ত্রিতিয়া তিথিতে এবং মন্দিরের প্লান-আকৃতি রামঠাকুর নিজে তৈরি করেন।
রামঠাকুরে কাছে মন্দিরে আকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে বলেন মন্দির হবে অষ্ট কোন,সপ্ত দড়জা,সপ্ত সিড়িঁ ও ১৬ নাম ৩২ অক্ষরে বেষ্টিত সেই কথা অনুসারে মন্দিরের বাস্তব রুপদান করেন ইঞ্জিনিয়ার বীর বাহাদুর অভিনাশ গুপ্ত।১৩৫৫ সনের ২৯ শে মাঘ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।ডিঙ্গামানিক সত্যনারায়ণ সেবা মন্দির বর্তমানে ৫ম তম মোহন্ত মহারাজ শ্রী ধূ্র্জুটি প্রসাদ চক্রবর্তী মহাশয়ের তত্বাবধায়ন রয়েছে এর আগে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা কাল হতে আরো চার জন মোহন্ত মহারাজ ছিলেন তার হলেন শ্রী গীরিন্দ্র মোহন চক্রবর্তী,শ্রী মহেন্দ্র চন্দ্র চক্রবর্তী,শ্রী সুনীল কুমার চক্রবর্তী ও শ্রী কালী প্রসাদ চক্রবর্তী। 
শ্রী শ্রী রামঠাকুর ১৩৫৬ সনের ১৮ই বৈশাখ ইংরেজি ১৯৪৯ সালের ১লা মে অক্ষয় ত্রিতিয়া তিথিতে রোববার দুপুর ১:৩০ মিনিটে দেহ রাখেন।

শ্রী শ্রী রামঠাকুরের চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল নামক গ্রামের একনিষ্ঠ শিষ্য বাবু দিনেশ চক্রবর্তী বলেন রামঠাকুর অলৌকিক শক্তির অধিকারী ছিলেন তাহার কৃপা লাভ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।তিনি আরো বলেন রামঠাকুরের এক ভক্ত একবার একটি মামলায় জড়িয়ে পরেন ঐ ভক্তের মনে ইচ্ছা হয় যদি সে একবার যদি ঠাকুরের দেখা পেত হয়তো সে মামলায় তার পক্ষে রায় পেত তখন সে ঠাকুরের দর্শনের জন্য ঠাকুরের কাছে ছুটে যায় তখন সে গিয়ে দেখে ঠাকুর কাপড়ের বেষ্টনীর মাঝে ভোজন করতে ছিলেন তখন ঐ ভক্ত দেখা না পেয়ে মন খারাপ করে বসে বাহির থেকে ঠাকুরের শ্রী চরনের বরাবর নমস্কার করে যখন উঠে দাড়ান সে দেখে রামঠাকুর তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তখন ঐ লোক খুব খুশি হয়ে আদালতে যায় এবং সে মামলার রায় তার পক্ষে পায়।